শরীয়তপুর ইসলামি যুব সোসাইটি
পরিচিতি:
আর্তমানবতার সেবায় সমর্পিত অরাজনৈতিক, অলাভজনক,অসাম্প্রদায়িক, অবানিজ্যিক, শিক্ষা, দাওয়াহ ও পূর্ণত সমাজ কল্যাণমূলক একটি দাতব্য সংস্থা। ২০২০ সালের ৪ ইং ফেব্রুয়ারী শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানাধীন কাঁচিকাটা ইউনিয়নের উত্তর মাথাভাঙ্গা গ্রামে আব্দুশ সোবহান বেপারীর সর্বকনিষ্ঠ সন্তান মোঃ রহমত উল্লাহর উদ্যোগে কাঁচিকাটা ইউনিয়নের কতিপয় যুবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিক্ষা- সেবা - দাওয়াহ কার্যক্রম বাস্তবায়নে ইসলামি যুব পরিষদ নামে এই সমাজ সেবামূলক সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই সংস্থাটির নাম পরিবর্তন করে শরীয়তপুর ইসলামী যুব সোসাইটি করা হয়। ইসলাম সমর্থিত সকল প্রকার সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করা, ইসলাম শিক্ষার পাশাপাশি দুনিয়াবী শিক্ষার সমন্বয় একটি আলোকিত সমাজ তৈরি করাই এই সংস্থাটির স্বপ্ন।
এই সংস্থাটি মানবতার শিক্ষক, মানুষের মুক্তি ও শান্তির দূত, মানবসেবার আদর্শ, মহানবী মুহাম্মদ সা.-এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আর্তমানবতার সেবা, সমাজ-সংস্কার, মহোত্তম নীতিচেতনার সঞ্চার, পরিচ্ছন্ন মানসিকতা গঠনে নিরন্তর নানা কর্মসূচি পালন, সর্বোপরি একটি আদর্শ কল্যাণমূলক সমাজ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে ইনশাল্লাহ।
নীতি ও আদর্শ
শিরকমুক্ত ঈমান ও বিদ'আতমুক্ত আমলের প্রতি আহ্বান করা। শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে সমাজে চলমান নানা রকম ভ্রান্ত বিশ্বাস এবং কুসংস্কার দূর করে একটি ন্যায়-নীতি পূর্ণ আদর্শ সমাজ গঠন করা।
রাজনৈতিক কর্ম ও অবস্থান গ্রহণ থেকে বিরত থাকা এবং দলমত নির্বিশেষে সকলের বৃহত্তর কল্যাণে কাজ করে যাওয়া।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
১। দরিদ্র মানুষের মধ্যে যে কোন প্রকার জনহিতকর বা দাতব্য কার্যক্রম পরিচালনা করা।
০২। দরিদ্র পরিবারের মধ্যে শীত বস্ত্র, ইফতার সামগ্রী, ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা।
০৩। মাদ্রাসা/স্কুল শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আযোজন এবং পুরস্কার বিতরণ করা।
০৪। মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কবরস্থান সম্প্রসারণে সহযোগিতা করা।
০৫। ইসলাম এবং সাধারন শিক্ষার সমন্বয়ে কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠা করা এবং পর্যায়ক্রমে উচ্চশিক্ষার জন্য আলাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করা।
০৬। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দ্বীন এবং দুনিয়াবী শিক্ষার সমন্বয়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা।
০৭। সমাজে চলমান নানা রকম ভ্রান্ত বিশ্বাস এবং কুসংস্কার দূর করে একটি ন্যায়-নীতি পূর্ণ আদর্শ সমাজ গঠন করা।
কার্যক্রম
শরীয়তপুর ইসলামী যুব সোসাইটির অধীনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি, ইফতার সামগ্রী বিতরণ, ঈদ প্যাকেজ বিতরণ, চিকিৎসা সহায়তা প্রদান, বিশুদ্ধ ইসলামের দাওয়াত ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করা হয়।
তহবিল ও আয়ের এর উৎস
ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণের দানের অর্থ ও তহবিল দিয়ে যাত্রা শুরু।
সদস্যদের ভর্তি ফি, চাঁদা/অনুদান ও দান
সদস্য, সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের এককালীন ও নিয়মিত অনুদান।
ফাউন্ডেশনর যে কোন প্রকল্প থেকে অর্জিত হয়।
জনসাধারণ কর্তৃক বিশেষ কোনো খাতে প্রদত্ত অনুদান।
সচ্ছল মুসলিমদের প্রদেয় যাকাত, ফিতরা।
ইফতার ও কুরবানীসহ বিশেষ বিশেষ খাতে উসুলকৃত অর্থ।
সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, কল্যাণমূলক ফাউন্ডেশনের, দেশী-বিদেশী দাতা সংস্থার দান, অনুদান।
অর্জনসমূহ
২০২০ এবং ২০২১ সালে শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানাধীন কাঁচিকাটা ইউনিয়নে প্রায় ৩৬৮ পরিবার এবং ৬৩ জন মসজিদের ইমামের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
২০২৩ এবং ২০২৪ সালে শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানাধীন কাঁচিকাটা ইউনিয়নে প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা।
২০২১,২০২২ এবং ২০২৩ সালে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, মসজিদের মুসল্লী এবং সাধারণ মানুষের জন্য ইফতারের আয়োজন করা হয়।